অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থ মার্ভেল ভক্তদের কাছে ‘গড অফ থান্ডার’ এর শর্টহ্যান্ড নামে বহুল পরিচিত। স্বভাবতই ঢাকা কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের জন্যে বাংলাদেশী সিনেমা ভক্তদের অনেক প্রত্যাশার পারদ উচ্চ ছিল। তবে ঢাকার নেগেটিভ রূপ, সন্ত্রাসের আতুড়ঘর, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাফিয়াদের হয়ে কাজ করে, আর্মিদের এইভাবে পাখির মত গুলি করার দৃশ্য অনেকেই মেনে নিতে পারিনি। তাঁর উপর ছিল দূর্বল স্ক্রিপ্ট, বাস্তবতার অভাব, ভাষার যাচ্ছেতাই ব্যবহার, পরের দৃশ্যপট আন্দাজ করার মত চিত্রনাট্য, আর জন্ডিস রোগী টাইপ কালার গ্রেডিং। চলচ্চিত্রের একশনগুলো মারাত্মক ছিল, এটা মানতেই হবে। তবে এককভাবে এতগুলো বাহিনীর সাথে লড়াই করার ক্রিসকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। অ্যাকশনর্মী চলচ্চিত্র মধ্যে বাস্তবতা খোঁজা অনেকটাই বোকামী!
ক্রিস হেমসওয়ার্থ সিনেমায় টাইলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি একজন বাংলাদেশী ড্রাগ লর্ডের দ্বারা প্রতিপক্ষ ভারতীয় ড্রাগ লর্ডের অপহরণকৃত পুত্রকে উদ্ধার করার জন্য ঢাকায় আসেন। “এক্সট্রাকশন” এর স্টান্ট ডিরেক্টর ছিলেন স্যাম হারগ্রাভ, বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মার্ভেলের ম্যুভিতে স্টান্ট সমন্বয়কারী হিসাবে তিনি কাজ করেছেন। যদিও এটা কোনো সুপারহিরো চলচ্চিত্র নয়। টাইলারকে চলচ্চিত্রে ভাল খারাপের সংমিশ্রণে দেখানো হয়েছে, যিনি কিনা টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করেছেন। রণদীপ হুদা ছিলেন সাজু চরিত্রে, সেই মূলত ভারতীয় মাফিয়ার পঙ্কজের ডান হাতের ভূমিকায় কাজ করেন। পঙ্কজ ত্রিপাতি, তাঁর চরিত্রে পরিধি ছিল খুবই অল্প, ভারতীয় মাফিয়া ডনের ভূমিকায়, তাঁর সীন শেষ হয়ে জেলে থাকা অবস্থায় রনদীপ হুদার সাথে অল্প কিছু কনভার্সেশনের মধ্যেই।
আরও কিছু চরিত্র হল, ইরানী অভিনেত্রী গোলশিফতেহ ফারহানী, সিনেমায় ক্রিস হেমসওয়ার্থের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন, শেষ দৃশ্যে ক্রিসকে বাঁচানোর জন্যে অস্ত্র হাতে ঢাকায় আসেন। ঢাকার গ্যাংলর্ড হিসেবে কাজ করেন প্রিয়াংশু, কিশোর চরিত্রে ছিলেন রুদ্রাক্ষ।
চলচ্চিত্রের কিছু পজিটিভ ও নেগেটিভ সাইড নিইয়ে কথা বলব। স্টোরি নিয়ে বলার কিছুই নেই। স্টোরি মোটামুটি সবাইই ইতোমধ্যে আন্দাজ করে ফেলেছি। সবার প্রথমেই নেগেটিভ দিকগুলো নিয়ে ঘাটাই।
বাংলাদেশী মাফিয়া
বাংলাদেশী অপরাধ জগতের সর্বেসর্বা হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। কিন্তু তাঁর পর্দায় এন্ট্রিই হয় কিছু পোলাপানদের বিচার করা নিয়ে, ড্রাগ চুরির অপরাধে ১০-১৫ বছরের বাচ্চাদের শাস্তি হিসেবে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে, আঙ্গুল কেটে নিচ্ছে। কিন্তু তাঁর ওঠাবসা বাংলাদেশী এলিট ফোর্স, আর্মি, পুলিশদের সাথে। তাঁর এক কথায় পুরো ঢাকা লক ডাউন হয়ে যায়। গড ফাদার টাইপ ভারিক্কীই ছিল না তাঁর চেহারায়।
বাজে প্লট
কোনো দুর্দান্ত প্লট না। দুইটা দেশকে মুখ্য করে বানানো চলচ্চিত্র, কিন্তু সেই দেশের হালচাল নিয়ে নাই প্রপার স্টাডি। সিনেমায় ডকুমেন্টারি মত বাস্তবতা চাওয়াও বোকামি। কিন্তু একটা মানসম্পন্ন প্লট সব চলচ্চিত্রেরই জরুরি বিষয়।
ঢাকার নাজেহাল অবস্থা
ঢাকার জ্যাম, মানুষ, দূষণ সবই না হয় মানলাম, চলচ্চিত্রের অনেক জায়গায় ঢাকাকে অযাচিত উপস্থাপন ছিল। ঢাকাকে দেখানো হয় ক্রাইমের স্বর্গরাজ্য হিসাবে। কিছু উল্লেখযোগ্য বরাতে জানা যায়, তারা ঢাকাতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারনে শ্যুটিং করেন নাই। “হার্ট লকার” এর মত সিনেমা যদি ইরাকে যুদ্ধকালীন সময়ের মাঝে শ্যুটিং করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেই তুলনায় অনেক ভাল। তবে যেহেতু বলিউডের হাতে সিনেমার সেট ডিজাইনের দায়িতে ছিল, সেভাবতই তারা ঢাকায় শ্যুট করার সুযোগ দিয়ে এত বড় একটা রেভিনিউ হারাতে চাইবে না। ঢাকায় শিশু কিশোরদের হাতে এমন রাইফেল, দুর্দান্ত ট্রিগার দেখলে যে কেউ ঢাকায় হাঁটতেও ভয় পাবে। বাচ্চাদের মুখে গালিগুলো প্রশ্নবিদ্ধ না, এখানের পোলাপান এর চেয়ে ভয়ানক গালি দিতে পারে। ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে যেভাবে হিন্দী গান চলে দেখানো হইছে, সেটাও অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তবে পুরান ঢাকার অলিতে গলিতে হিন্দী গান খুব একটা নতুন না। আহেমদাবাদকে পুরান ঢাকার ডিজাইন করতে গিয়ে তারা কয়েক জায়গায় হিন্দী শব্দের পোস্টার তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন।
ভাষার ইজ্জত লুণ্ঠন
বুঝলাম সব কিছুই ভারতের ক্রু দিয়েই করানো যায়, তারা ভাষার ইজ্জতটা না মারলেও পারত। পুরান ঢাকার মানুষ প্রায় কথায়ই অনেক সময় হিন্দী আনে। তবে তাদের একসেন্ট কখনোই কলকাতার মতো নয়। কোটি কোটি টাকা সিনেমার প্রডাকশনে ঢালার মত বিগ বাজেট ম্যুভি নির্মাতা ভাষা নিয়ে খুবই অবহেলা করেছেন। কয়েকজন বাংলাদেশীর ভয়েসে, আমাদের একসেন্টে চলচ্চিত্র নির্মান করা গেলে খুব একটা খারাপ হত না। এমনিতেই এই সিনেমায় ইংরেজি, বাংলা, হিন্দী তিন ভাষায়ই ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু মৌলিক ভাষার কোন চলচ্চিত্র না, ভাষা নিইয়ে কাজ করার অনেক অপশন ছিল। হলিউডী নির্মাতার বাংলাদেশী একসেন্ট নিইয়ে প্রপার স্টাডি নেই। এই ক্ষেত্রেও ভাষার যাচ্ছেতাই অবস্থার কারনও ভারতীয় ক্রু-ই হবে।
পড়ুন আমার আরও রিভিউঃ TAKE OFF – সত্য ঘটনালম্বনে নির্মিত মালায়ালাম চলচ্চিত্র
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাফন
এলিট ফোর্স এর ক্ষমতা নিয়ে সন্দীহান থাকলেও এই সিনেমায় বুঝতে পারলাম এলিট ফোর্স দিয়ে পুড়ো ঢাকা নাড়িয়ে দেওয়া যায়। হলিউড ডিরেক্টরদের অবশ্যই একটি দেশের বাহিনীদের ক্ষমতা নিয়ে অজানা থাকার কথা নয়। এক এলিট ফোর্সের পাকা দাঁড়িওয়ালা চীফ, হাটুর বয়সী এক মাফিয়ার পিছে পিছে থাকে। তাঁর নির্দেশে পুরো ঢাকা লকডাউন (আসল লকডাউন তো এখন) হয়ে যায়। আর্মি, পুলিশ, এলিট ফোর্স মাঠে নামে একজনকে ধরার জন্যে। শত শত সৈন্য মিলে এক ক্রিস হেমসওয়ার্থের কিচ্ছুই করতে পারল না, শেষমেষ এক পাবজি (!) প্লেয়ারের দুর্দান্ত নিশানায় কুপোকাত ক্রিস। আমাদের এত কষ্ট করে এই বাহিনী না পুষে পাবজি প্লেয়ারদের প্রনোদনা দেওয়া উচিত। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত লেগেছে, পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কলংক আছে, আর্মিরও কলংক রয়েছে আশির দশকে। তাই বলে আমাদের আর্মি এতোটা নুপুংসুক কোনো বাহিনী না যেটা চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপমহাদেশীয় ঘোল
সিনেমার কাহিনী ভারত বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। শ্যুটিং চলাকালীন অনেক গুজব এসেছিল যে এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে, ঢাকায় আসলেই এমন উদ্ধার ঘটনা হয়েছিল ইত্যাদি। তবে কিছু সূত্র থেকে জানা যায় এমন ঘটনা প্যারাগুয়েতে হয়েছিল। সেইখানের দুই মাফিয়া ডনের অন্তর্কোন্দল থেকে। তাহলে প্যারাগুয়ে বাদ দিয়ে কেন মুম্বাই আর ঢাকা ভিত্তিক করে তৈরি হল। যতটুকু মনে হচ্ছে নেটফ্লিক্স উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপের বাজারে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানী। তারা ইদানীং ভারতে নিজেদের একটা আজার তৈরি করতে ভারত ভিত্তিক সিনেমায় অর্থ লগ্নি বারিয়ে দিয়েছে। আর এই ম্যুভিতে তাদের মূল ফোকাস ছিল ঢাকা। সম্ভবত ভারতীয় স্টেজ, ক্রু দিয়ে আর ঢাকার নাম ব্যবহার করে তারা দুইদেশ থেকেই কামাই নিতে চাচ্ছে। ঢাকায় গত ৭-৮ মাস এই সিনেমা নিইয়ে প্রচুর হাইপ ছিল। আর এই হাইপের বশবর্তী অনেকেই নেটফ্লিক্সের গ্রাহক হচ্ছে। এই হাইপটাকে নেটফ্লিক্স ব্যবহার করে ব্যবসা করে নিতে চাইছে।
আরও কিছু বিষয়
সব টাকা পয়সা, ব্যাংক একাউন্ট ফ্রোজেন করে দেওয়া হয়েছে, এমন এক ইন্ডিয়ান মাফিয়া ডনের ছেলেকে কিডন্যাপ নিয়ে তৈরি মকরা হয়েছে। মাফিয়া ডন পঙ্কজের ছেলেকে উদ্ধার করতে তারই ডান হাত রনদীপকে নির্দেশ দেওয়া হয় ঢাকায় গিয়ে যেভাবেই হোক উদ্ধার করতে। অন্যদিকে রনদীপ জানত তাঁর সামর্থ্য নেই এত বিশাল গ্যাং এর সাথে লড়াই করে বেঁচে ফিরতে পারার। তাই সে কৌশলে ভাড়াটে গুণ্ডাকে ব্যবহার করে। যার সব টাকা-পয়সা ফ্রোজেন তার ছেলেকে কিডন্যাপ করেই বা লাভ কী?
টিপিক্যাল তামিল ম্যুভির একশনের ভরপুর ছিল। ফ্যান্টাসীও না, আবার বাস্তবতারও ছোঁয়া নেই খুব একটা। পৃথিবীর যেকোনো দেশের বাহিনীর চেয়ে একজন নন-আর্মড ফোর্সড ভাড়াটে গুন্ডা কখনোই এত দুর্ধর্ষ হয় না। মিলিটারি কৌশলগুলো নিঁখুত ছিল না। ক্লোজ কমব্যাটে মাত্র দুই তিনজন মিলে ওয়ান শট ওয়ান কিলে গোটা আর্মি, এলিট ফোর্স ও পুলিশের শ খানেক ফোর্স নিমিষেই ভূপাতিত করে দিল। আর অন্যদিকে তিন ফোর্সের এতগুলো সদস্যও যেখানে কুপোকাত, সেখানে এক এলিট চীফ মাইলখানে দূর থেকে (যদিও ব্রিজ থেকে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার নয়) স্নাইপার দিয়ে তিন-চারজনকে খতম করে দিল।
বাংলাদেশের বাহিনীগুলোকে এভাবে উলঙ্গ করা হবে দেখেই ডিরেক্টর, সিনেমা ক্রুরা এই দেশে কোনো শট নেননি, ট্রেইলারেও বাংলাদেশী বাহিনীদের কোনো ছিটেফোঁটা রাখেননি। সিনেমার শুরুতে দেখালো ক্রিস অস্ট্রেলিয়ায় ছিলো, আবার মুভির টাইমলাইনও মাত্র দুইদিনেরি ছিল। ক্রিসের সাথে কন্ট্রাক্টই করলো কবে? ঢাকায় আসলো কবে, আর্মস কালেক্ট করলো কবে?
শেষে ক্রিসকে বাঁচাতে হেলিকপ্টার নিয়ে ঢুকে পড়ছিল তাঁর এজেন্টরা। কোনো দেশের বিমানবাহিনী এতো দূর্বল কিনা যে কোনো প্রাইভেট হেলিকপ্টার একটা ভাড়াটে গুন্ডাকে নিতে এসেছে, তাদের রাডারেও ধরা পড়েনি, তাদের কোনো কপ্টারও ধাওয়া করেনি। কি অদ্ভুত ব্যাপারটা!
একটা বিষয় খটকা লাগল যে সিনেমায় দেখানো হয় ভারতের মাফিয়া জেলে আটকানো; তাঁর একাউন্ট, টাকা-পয়সা সব জব্দ করেছে তাদের সরকার, তাদের দেশ অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নির্মল। অন্যদিকে ঢাকা হল সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর, এদেশের হাটু সমান ছেলদের কাছেও ম্যগাজিনভর্তি রাইফেল থাকে, এদেশের মাফিয়ার প্রচন্ড ক্ষমতা, তারা চাইলেই আর্মি, পুলিশ, এলিট ফোর্স নামিয়ে দেশকে লক ডাউন করে দিতে পারে। সতী-সাবিত্রী ভারত, আর বীভৎস বাংলাদেশের রূপ চিত্রায়নে ভারতীয় ক্রু মেম্বারদের অবদান বেশি।
পজিটিভ দিক
ছবির পজিটিভ অংশগুলো এক বাক্যেই শেষ করার মত। অ্যাকশন জনরা হিসেবে বেশ ভাল ছিল। ক্যামেরার কাজও কিছু কিছু জায়গায় দারুণ ছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে ক্রিস এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফ দেওয়ার সময় ক্যামেরাম্যানও লাফ দিয়ে শট নিয়েছে। রিয়েলিস্টিক কিছু শট ছিল। প্যান-জুমের চেয়ে ক্রিসের পিছনে পিছনে ক্যামেরা ক্রু-কে প্রচুর এফোর্ট দিতে হইছে। দর্শকের চোখে সহজেই এই অনুভূতি জাগবে যে ক্রিসের চোখেই কমব্যাটে লড়ছি। নিজাম রাব্বীকে আমি চিনি না। তবে এইখানে কতগুলো হিন্দী গানের মধ্যে বাংলাদেশী এক র্যাপারের গান ব্যবহার করা হয়েছে। রনদীপের নাক ধরে মোচড় দেওয়ার শটটা দেখে গা শিউড়ে উঠছে। রনদীপের একটিং ভাল ছিল। সিনেমায় ইরানী অভিনেত্রীও ছিল, ছিল না যে দেশ নিয়ে চিত্রনাট্য, তাদের কোন ক্রু। ইরানী অভিনেত্রী মোটামুটি ভাল বলা চলে। যে কিশোরকে কিডন্যাপ নিইয়ে এই সিনেমা, সেই ছেলেটাও ভাল কাজ করেছে। লাস্টে তাঁর ইমোশনাল মুহূর্ত দর্শকের মনে কোনো নাড়াই দিবে না। কারণ আপনি আগেই বুঝে যাবেন। 😛
ম্যুভিটি নেটফ্লিক্স ছাড়াই বিনাপয়সায় স্ট্রিম করে দেখে নিতে পারেনঃ https://bit.ly/3eOzbug
আশাকরি হলিউড একদিন আমাদের সুন্দর বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তাদের বড় পর্দাতে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশকে স্টাডি করে তারা ভবিষ্যতে আরও সুন্দর কিছুও উপহার দিতে পারে। অথবা মেক্সিকো, পাকিস্থান, ব্রাজিলের মত আমাদেরকেও মাফিয়ার আতুরঘর বানিয়ে দিতে পারে। 😀