সচেতন নাগরিক সমাজ এই সময়ে স্বেচ্ছায় নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছে। এর মধ্যে ঠান্ডা-কাশির কোনো উপসর্গ দেখা দিলে করোনা টেস্ট করানোর যৌক্তিকতা বেশি। সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে কোয়ারেন্টাইনের বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেমন বাইরে না বের হওয়া, নিজের ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবানুমুক্ত রাখা, অন্যকে না ধরতে দেওয়া, পরিবারের সবাই একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়ে থাকা, হাচি কাশি হাতের তালুতে না দেওয়া বরং টিস্যু ব্যবহার করা, স্যাভলন পানি দিয়ে গোসল করা, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির জন্যে সবকিছু আলাদা করা। মোটামুটি অন্যের সাথে সংস্পর্শে আসবে না, এমন উদ্যোগ গুলোই কোয়ারেন্টাইনে মানা হয়। . কোয়ারেন্টাইন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কতটুকু মানতে পারবে, এটাই সবচেয়ে দেখার বিষয়। শহরে বসবাসকারী অধিকাংশ মধ্যবিত্তের সদস্য সংখ্যা ৪-৬ জন। অধিকাংশই ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেখানে ২-৪ টার বেশি কক্ষ কখনোই থাকে না। তাদের শোয়ার বিছানা একই থাকে, গোসল খানা একটা বা দুইটা। একই আলমারি, ক্যাবিনেট একটার উপর আরেকটা কাপড় চোপড় রাখে। একই জিনিস ২-৩ জন মিলে ব্যবহার করে। . করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে কোয়ারেন্টাইনে কখনো পরিবারের এক বা দুইজন সদস্য গেলে কখনোই কার্যকর হবে না। ইতোমধ্যে ভাইরাস সুপ্তাবস্থায় অন্যদের শরীরে ট্রান্সমিট হয়ে যায়। তখন প্রত্যেক সদস্যকে আলাদা আলাদা ঘরে না রাখা হলে, তাদের ব্যবহার্য সামগ্রী আলাদা না করা হলে, ভাইরাস হু হু করে ছড়াবে। পাঁচ সদস্যের পরিবারের জন্যে তখন পাঁচটা রুমে না রাখা গেলে একজন সদস্য থেকে বাকিদের ছড়িয়ে যাবে, তখন কেউই কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারবে না। |